বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে সামনে রেখে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। তবে সারা বছর অলস সময় পার করলেও দুর্গাপূজার আগ মূহুর্তে মৃৎশিল্লীদের সময় কাটে খুবই ব্যস্ততায়। এ বছর কাঠালিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৫৪টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিমা শিল্পী অমল চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ বাবার কাছ থেকে শিখেছি। অনেক বছর থেকে এই পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি বছর চার-পাঁচটি মন্ডপের প্রতিমা তৈরি করে থাকি। প্রতিটিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে পাই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঁদা মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ ও সুতলি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হয়। তিনি আরো বলেন, মাটির কাজ শেষ শেষ করেছি। এখন বাকি শুধু রংঙের কাজ। ৪/৫ দিনের মধ্যে শ্রী শ্রী দয়ানন্দ অবদূত সেবাশ্রমের নব দূর্গার রংঙের কাজ শুরু করবো।
কাঠালিয়া উপজেলার শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ কেন্দ্রীয় সেবাশ্রমের সভাপতি জগবন্ধু মিত্র বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধু রংঙের কাজ বাকি রয়েছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে রংঙের কাজ শুরু করবেন প্রতিমা শিল্পীরা। এ বছর স্বস্থ্যবিধি মেনে ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর ৫দিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা চলবে।
শ্রী শ্রী দয়ানন্দ অবদূত সেবাশ্রমের সভাপতি দুলাল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হবে। শ্রী শ্রী দয়ানন্দ অবদূত সেবাশ্রমে নব দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম এই মন্দিরের পূজা। প্রতি বছর এখানে অসংখ্য ভক্তরা আসেন। প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু রঙের কাজ বাকি। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে শিল্পীরা রংঙের কাজ করবেন।
কাঠালিয়া উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বাবু বিমল চন্দ্র জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করবো। তবে করোনার আগে যেমন বাড়তি জাঁকজমকপূর্ণ হতো, সেটা এবার হবে না। তারপরেও গত বছরের চেয়ে একটু বেশি আনন্দ-উল্লাস থাকবে এবারের দূর্গা পূজায়। এক তারিখের পরে নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৫৪টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সকল মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন শুধু রঙের কাজ বাকি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহম্মেদুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় ৫৪ পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উপলক্ষে প্রত্যেক মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।